জাপানে ভাষা শিক্ষা এবং চাকরির জন্য আপনার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান
৫০০ জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল থেকে আপনার পছন্দের স্কুলে এডমিশন নিন
জাপান কি আপনাকে স্বপ্ন দেখায়? হয়তো অ্যানিমে আর মাঙ্গার রোমাঞ্চকর জগত, অথবা প্রযুক্তির উন্নতিতে অবাক করা দেশটি, কিংবা ঐতিহ্যে মিশে থাকা একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি - কারণ যে কোনোটি হোক না কেন, জাপান আপনাকে মুগ্ধ করবেই। আর এই মুগ্ধতা থেকেই জন্ম নিতে পারে জাপানে ভ্রমণ এবং জাপানিজ ভাষা শেখার ইচ্ছা। জাপানিজ ভাষা শেখা কেবল একটি ভাষা শেখা নয়, এটি জাপানের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং সমাজকে বুঝে নেওয়ার এক চমৎকার সুযোগ। এছাড়াও, জাপানিজ ভাষা জানা থাকলে জাপানে কর্মসংস্থান এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও আপনার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। কল্পনা করুন, জাপানের কোনো চমৎকার রেস্টুরেন্টে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপচারিতা করছেন, অথবা একটি জাপানিজ কোম্পানিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করছেন - জাপানিজ ভাষা জানা আপনাকে এসব স্বপ্নপূরণের কাছাকাছি নিয়ে আসবে। আপনার সেই স্বপ্নকে বাস্তব করার সুযোগ এখনই আপনার হাতের নাগালে। নিহন ইন্টারন্যাশনাল-এ, আমরা আপনার মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জাপানে আপনার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করার জন্য বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রোগ্রামের মাধ্যমে, আপনি পাচ্ছেন:
জাপানিজ ভাষার দক্ষতা: অভিজ্ঞ এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ২ বছরের ফুল টাইম জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স। এটি আপনার জাপানিজ ভাষার দক্ষতা এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে।
কাজের অভিজ্ঞতা: জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ প্রোগ্রামে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুযোগ এবং একই সময়ে ভাল উপার্জন করার সুযোগ।
নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ: দুই বছর জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ শেখার পর ফুল টাইম জব শুরু করা অথবা উচ্চশিক্ষার সুযোগ।
শুধুমাত্র জাপানিজ ভাষা জানার কারণে খুব সহজেই জাপানে চাকরি পাওয়া সম্ভব। জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে এবং জাপানে কাজ করতে প্রতি বছর অনেক বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি জাপানে আসছেন। জাপানে এসে নতুন জীবন শুরু করার জন্য এটিই সেরা সময়
আপনি জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলে পড়াশোনা শেষে কি করবেন? জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জাপানে কি কি করতে পারবেন জানতে চান? নিচের তালিকা থেকে জেনে নিন জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোন কোন সেক্টরে আপনার ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করবে:
অটোমোবাইল: জাপানি গাড়ির খ্যাতি বিশ্বজগতের। টয়োটা, নিসান, হোন্ডা - এই বিশাল কোম্পানিগুলোতে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। কার ডিজাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা থাকলে সুবিধা।
বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং ফাইনান্স সেক্টর: আপনার যদি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা থাকে এবং জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজের দক্ষতা থাকে তাহলে দোভাষী (ইংরেজি এবং জাপানিজ) হিসেবে জাপানের বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টে আপনার চাকরির সুযোগ রয়েছে অনেক বেশি।
টেকনোলজি সেক্টর: জাপান প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বিশ্বে অন্যতম শীর্ষস্থানে রয়েছে। রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। জাপানি ভাষার দক্ষতা সহ প্রোগ্রামিং, সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা থাকলে সুযোগ আরও বাড়ে।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট এবং ট্যুরিজম সেক্টর: জাপান ভ্রমন পিয়াসী মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি দেশ হিসেবে পরিচিত। তাই এদেশের হোটেল ম্যানেজমেন্ট এবং ট্যুরিজম সেক্টরে দোভাষী লোকজনের চাহিদা অনেক বেশি। পর্যটন শিল্পে গাইড, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ট্রাভেল এজেন্ট ইত্যাদি পেশায় জাপানি ভাষা জানা থাকলে চাকরি পাওয়া সহজ।
গ্লোবাল বিজনেস: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য যোগাযোগের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে জাপানের বড় বড় কোম্পানিতে।
স্বাস্থ্যসেবা: জাপানের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম উন্নতমানের। জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজের দক্ষতা থাকে নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট, ঔষধ ব্যবসায়ী ইত্যাদি পেশায় কাজ করতে পারেন।
অনুবাদ ও দোভাষী সেবা: জাপানিজ ও বাংলা ভাষায় পারদর্শী হলে ব্যবসায়িক আলোচনা, সম্মেলন ইত্যাদিতে দোভাষী হিসেবে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা থাকলে দোভাষী হিসেবে আরও অনেক বেশি জবের সুযোগ পাওয়া যাবে।
জাপানিজ ভাষা শিক্ষক: বর্তমান সময়ে একজন জাপানিজ ভাষার শিক্ষকের চাহিদা অনেক বেশি। জাপান অথবা বাংলাদেশের বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউ গুলোতে এখন জাপানিজ ভাষায় দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষকের চাহিদা অনেক। তাই একজন দক্ষ জাপানিজ প্রশিক্ষক হয়ে প্রবাসী বা বিদেশিদের ভাষা শেখানোর সুযোগ আছে।
গবেষণা এবং একাডেমিয়া: জাপানিজ শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বজগতের অন্যতম উন্নতমানের।যারা উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে আগ্রহী, তারা সহজেই জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বা মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। উচ্চশিক্ষার পর রিসার্চার, ইউনিভার্সিটি লেকচারার ইত্যাদি হিসেবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
সৃজনশীল শিল্প: জাপানের অ্যানিমেশন, ম্যাঙ্গা, গেম ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি খাতে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। এই খাতগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইনার, অ্যানিমেটর, ম্যাঙ্গা শিল্পী, গেম ডেভেলপার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন।
অন্যান্য: জাপানিজ ভাষা জানা থাকলে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি, বিমানবন্দর কর্মী, এনজিও, আন্তর্জাতিক লজিস্টিক ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন।
জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল শিক্ষক
জাপানে জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি
বাংলাদেশে কলেজে অধ্যয়নরত
500 এর বেশি জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল নিহন ইন্টারন্যাশনালের সাথে সরাসরি কাজ করে যাচ্ছে। আপনি যদি জাপানে পড়াশোনা করতে এবং কাজ করতে আগ্রহী হন তবে আজই আমাদের সেবাসমূহ চেক করুন এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন!